প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশে অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয়
পণ্য মজুদ করেছেন। ফলে গত সপ্তাহে বাজারগুলোতে দাম বেড়েছিল পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মুরগি,
ডিমসহ অনেক পণ্যের। কিন্তু বাজারে ক্রেতা না থাকায় এখন আবার এসব পণ্যে দাম কমতে শুরু
করেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। একইসঙ্গে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে
মুরগির দামও। ডজনপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত, তবে অপরিবর্তিত আছে
গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি
হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের
দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে।
পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে দেশি রসুনের। তবে আদা ও আমদানি
করা রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত
সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আমদানি করা রসুন আগের মতো ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদা বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি।
অপরিবর্তিত রয়েছে আদার দামও। বর্তমানে প্রতি কেজি আদা বিক্রি
হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।তবে বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম। এসব বাজারে
কেজিতে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, লেয়ার (লাল)
মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, লেয়ার (সাদা) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
অপরবর্তিত
আছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে
৫৫০ টাকা দরে, খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে।
কমেছে ডিমের দামও। ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার
(লাল) ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, সাদা ডিম ১০০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
এছাড়া অপরবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম।
অলস সময়/প্রতিবেদক
0 coment rios: