শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০

কেমন আছেন খালেদা জিয়া নিজের বাসায়


দীর্ঘ দুই বছর কারাভোগের পর গত ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এই মুহূর্তে তিনি রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজাতে অবস্থান করছেন। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার চিকিৎসার জন্য পুত্রবধূ জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড।এদিকে জনমনে প্রশ্ন, বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হওয়ার পর কেমন কাটছে খালেদা জিয়ার দিনকাল। 
তার শারীরিক অসুস্থতার কতটুকু উন্নতি হলো? নাকি

আগের মতোই আছেন।শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দেখতে ফিরোজায় গিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। এই মুহূর্তে তার চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন লন্ডনে অবস্থানরত পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান।ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম এখন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন। 
সেখানে তার সঙ্গে নার্সসহ আরো কয়েকজন আছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত ওনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। ওনাকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাঘবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের কয়েকজন সদস্য জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। ব্যথার কারণে ঠিকভাবে হাঁটতে পারেন না। 
সেজন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে ব্যথা কিছুটা কমছে।তার ডায়াবেটিস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে বাসায় আসার পর থেকে মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন তিনি। কোয়ারেন্টাইনে থেকে টিভি ও সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়ে অবসর সময় পার করছেন। 
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলছেন।বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত সচিব আবদুস সাত্তার বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতির নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন তিনি। দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তার সঙ্গে গৃহকর্মী ফাতেমা ছাড়াও একজন নার্স আছেন। 
ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। স্কাইপের মাধ্যমে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনিদের সঙ্গেও কথা বলছেন। এর বাইরে আর কারো সঙ্গেই দেখা-সাক্ষাৎ করছেন না। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পরই সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: