করোনার উপদ্রব আসার আগে চিন-আমেরিকার মধ্যে
অব্যাহত ছিল বাণিজ্যিক যুদ্ধ। কে কাকে কত বেশি শুল্ক চাপিয়ে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত
করতে পারে, ট্রাম্প এবং চিনফিংয়ের মধ্যে সেই দৌড়ই এত দিন চলছিল। বাণিজ্যিক দিক
থেকে দুই দেশের তো ক্ষতি হচ্ছিল, তার প্রভাবও পড়ে দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলির উপরে।
কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসের আমদানি হওয়ায় বিশ্বের
প্রায় সব দেশের অর্থনীতি টলে গিয়েছে। বিশেষ করে চিন। উহান প্রদেশে প্রথম চিহ্নিত
করা যায় করোনাভাইরাসের। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৮০ হাজার। সেখানেই ৩ হাজার
মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ভাইরাস কীভাবে উত্পত্তি হল? প্রথমে মনে
করা হয়েছিল, উহান প্রদেশের হুয়ানান সি-ফুড মার্কেট থেকে এই ভাইরাসের আমদানি।
সামুদ্রিক প্রাণীর থেকে COVID-19 জীবাণু মেলে।
জাপানের একটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, চিনে যে এই
ভাইরাস তৈরি হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। ৪টি মহাদেশের ১২টি দেশ থেকে ১০০-র
বেশি জেনম সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে চিন করোনার উত্পত্তিস্থল নয়। চিনের
এক গবেষণা দাবি করছে, মানুষ থেকে মানুষের সংক্রমণ ছড়ায় নভেম্বর থেকে। হুয়ানানে
অনেক পরে এই ভাইরাসের আমদানি হয়।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট বলছে, গত বছর
ডিসেম্বরে গোড়ায় নোভেল করোনাভাইরাস ছড়ায়। সে সময় চলছিল উহান মিলিটারি গেমস। বিভিন্ন
দেশের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে এই গেমসে। মার্কিন সেনা প্রতিনিধিও অতিথি হিসাবে আসে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিক সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেন, ৩.৪
কোটি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। এরপরই চিন দাবি করতে শুরু করে, তাহলে কি প্রথম
করোনা সংক্রমণ ছড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে! উহান মিলিটারি গেমস হওয়ার পর থেকে
করোনা সংক্রমণ ছড়ায় উহানে।
জাপানের সংবাদ মাধ্যম আসাহি দাবি করে, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথম করোনাভাইরাসের উত্পত্তি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণ করতে
ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চিন এবং জাপানের দাবি নিয়ে মুখ না খুললেও, ইউএস
সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন তরফে জানানো হয়, নিউ ইয়র্ক সিটি,
লস অ্যাঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেলে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তদের নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে।
সুত্রঃ জি২৪-ঘন্টা
0 coment rios: