আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই শ্রমিক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে।শ্রম ও কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রি। এদিকে সোমবার রাতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর এক যৌথ ঘোষণায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারখানা মালিকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক এবং বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান যৌথভাবে এই ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণায় বিশেষ
জরুরি প্রয়োজনে কিছু কারখানা খোলা রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে। যে সব কারখানায় জরুরি
রপ্তানি আদেশের কাজ রয়েছে এবং যে সব কারখানায় করোনা থেকে সুরক্ষাসামগ্রী পিপিই, মাস্ক
তৈরি হচ্ছে সে সব কারখানা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা যাবে।
তবে খোলা রাখার
জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) এবং
স্ব স্ব সংগঠন বিজিএমইএ কিংবা বিকেএমইএর অনুমতি নিতে হবে।
বকেয়া
বেতন-ভাতার দাবীতে সাভারে তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। সোমবার রাকেফ এ্যাপারেলস ওয়াশিং
এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, দি ওয়ার্ল্ড ওয়ান ডেনিম লিমিটেড ও গ্লোরিয়াস
ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এরমধ্যে দুটি কারখানার শ্রমিকরা
কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিল্প পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রাকেফ
এ্যাপারেলস ওয়াশিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার একাধিক শ্রমিকরা
জানায়, গত দুই মাস যাবৎ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে টালবাহানা করে আসছে কর্তৃপক্ষ।
এরমধ্যে করোনা ভাইরাসের কারনে ১৪ তারিখে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা বলে কারখানাটি
সাধারন ছুটি ঘোষনা করা হয়। তবে বকেয়া বেতন পরিশোধে কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে
ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে।
বাংলাদেশ
গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, এই
কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অনেক শ্রমিক আছেন যারা দুই মাসের বেতনও
পায়নি। তাদের ঘরে কোন খাবার নেই। আবার অধিকাংশ শ্রমিক এই এলাকার ভোটার না হওয়ায়
তাদের ভাগ্যে জুটেনি ত্রান তহবিলের কোন খাদ্যসামগ্রী।
শ্রমিকদের বেতন না দিলে করোনা তো দূরের কথা না খেয়েই মারা যেতে হবে অনেক শ্রমিককে।
শ্রমিকদের বেতন না দিলে করোনা তো দূরের কথা না খেয়েই মারা যেতে হবে অনেক শ্রমিককে।
গামের্ন্ট
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক
খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ‘দি ওয়ার্ল্ড ওয়ান ডেনিম
লিমিটেড’ কারখানাটি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে শ্রমিকদের বকেয়া বাকী পরেছে। বকেয়া
বেতন-ভাতা না পেয়ে কারখানাটির দেড় শতাধিক শ্রমিক মুল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ
দেখায়।
এছাড়া মধ্য
গাজিরচট এলাকায় অবস্থিত ‘গ্লোরিয়াস ফ্যাশন লিমিটেড’ কারখানার শতাধিক শ্রমিক বকেয়া
বেতন-ভাতার দাবীতে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ
খবর পেয়ে দুপুরের পর ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ১৮তারিখ বেতন-ভাতা
পরিষোধের আশ্বাস দিলেও ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তা না মেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা
দেন।
শ্রমিক সংগঠনটির
এই নেতা আরও জানান, এই দুই কারখানার শ্রমিকরা আজ (সোমবার) শিল্প পুলিশের কাছে
মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আশুলিয়া শিল্প
পুলিশ-১ এর এসপি সানা সামিনুর রহমান বলেন, শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশের টিম
ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
0 coment rios: