বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

আগস্টেই পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন

রুশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গামালি ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়।

মস্কোর দ্য সেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গত জুনে ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর সম্ভাব্য ওই টিকার প্রয়োগ শুরু করে। একই সময়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী একই টিকার দুই মাসের পরীক্ষা চালায়।

গামালি সেন্টারের প্রধান আলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, তিনি আশা করছেন, আগামী ১২-১৪ আগস্টের মধ্যে সম্ভাব্য টিকাটি জনসাধারণের প্রয়োগের জন্য বাজারে আনা যাবে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেপ্টেম্বর নাগাদ ব্যাপক হারে উৎপাদন শুরু করতে পারবে।

সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের প্রধান ইয়েলেনা স্মোলিয়ারচুক বলেছেন, গবেষণাটি শেষ হয়েছে। টিকাটি নিরাপদ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবীদের ২৮ দিন আইসোলেশনে রাখার পর একটি দলকে বুধবার (১৫ জুলাই) এবং আরেকটি দলকে আগামী ২০ জুলাই ছাড়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। 

স্বেচ্ছাসেবীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। আগামী ছয় মাস তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
করোনাভাইরাসের মহামারি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর প্রতিষেধক বা টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এরই মধ্যে বেশ কিছু সম্ভাব্য টিকা উদ্ভাবনের দাবিও করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে সারা বিশ্বে টিকা তৈরির নানা উদ্যোগ নিয়ে একটি খসড়া তালিকা রয়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এ তালিকায় ১৬০টি উদ্যোগের তথ্য ছিল। তবে এসব টিকার কোনোটিই অতি সম্প্রতি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা এক মাসের মধ্যে করোনার টিকা আনার ব্যাপারে আশাবাদী।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: