নোটিশে বলা হয়, অপু বিশ্বাস ও বাদশাহ বুলবুল একে অপরের পরিচিত। দুজনের মধ্যে সুসম্পর্কও ছিলো। যার প্রেক্ষিতে অপুকে প্লট ক্রয়ের কিস্তি পরিশোধ, ফ্ল্যাট ক্রয় ও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা ঋণ দেন বাদশাহ। গত ৭ জুলাই সেই ঋণের অর্থ পরিশোধের অংশ হিসেবে বাদশাকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন অপু। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি ফেরত দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এরপর বিষয়টি চিত্রনায়িকা অপুকে জানানো হলেও তিনি টাকা পরিশোধে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ব্যবসায়ী বাদশাহর সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেন।
এতে আরো বলা হয়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবসায়ী বাহশাহর অর্থ পরিশোধ না করা হলে অপুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে জাতিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, মাঝে কিছু সময় তিনি অর্থকষ্টে ভুগছিলেন। তখন বগুড়ায় থাকা পারিবারিক কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে অংশীদারের ভিত্তিতে বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে একটি ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বুলবুল অশালীন আচরণ শুরু করলে তার সঙ্গে ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
জনপ্রিয় এ চিত্রনায়িকা আরো বলেন, তিনি ব্যবসায় ঠিকমতো সময় দিতে পারতেন না দেখে বাদশাহ তাকে ২-৩টি চেকে স্বাক্ষর করে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। সেই চেকগুলো দিয়েই এখন জালিয়াতির নাটক সাজানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অনেক আগ থেকেই তার ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ রয়েছে। এ চেকের বিষয় নিয়ে গত বছর তিনি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করতেই বাদশাহ এ নাটক সাজিয়েছেন। এ জন্য তিনি বাদশাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন বলেও জানান।
0 coment rios: