বিকেল ৩টার দিকে শুরু হওয়া এ অভিযান সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অভিযানে হাসপাতালটির একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থেকে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী (এনডোট্রাসিয়াল টিউব) উদ্ধার করা হয়। পরে এসব সার্জিক্যাল সামগ্রীগুলো মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই করে দেখা যায়, এগুলোর সবগুলোর মেয়াদই ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া হাসপাতালটির আরো চারটি ওটি রয়েছে। যেগুলো তালাবদ্ধ ছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযানে উপস্থিত থাকা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অপারেশনের সময় এই এনডোট্রাসিয়াল টিউবগুলো রোগীদের গলার ভেতর ঢুকিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এই সার্জিক্যাল সামগ্রীগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রোগীর প্রাণ হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
অভিযানে অসহযোগিতা করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।
নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় পরে অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা অননুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখন পর্যন্ত যত রিপোর্ট দিয়েছে সবই ভুয়া।
তিনি বলেন, এ ছাড়া কিছু পরীক্ষা বাইরের হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মাস্ক, গ্লাভস- এগুলো একাধিকবার ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল এই হাসপাতালটি। এ ছাড়া তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩-১০ হাজার টাকা করেও আদায় করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
0 coment rios: