বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

কাঠগড়ায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদের দাবি, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী’

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদ বললেন, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী। আমার বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একমাত্র আমিই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেই। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।'



বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে রিমান্ড শুনানির মাঝখানে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করেন তার কিছু বলার আছে কিনা। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদ এসব কথা বলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় সাহেদকে। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার  মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসএম গাফ্ফারুল আলম রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলার আরেক আসামি তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন একই তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দীন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  উত্তরা পশ্চিম থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই তিন জনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আদেশ দেন।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। এর আগে তার খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে র‌্যাবের অভিযানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।


গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। তার হাসপাতালের কার্যক্রমও সরকারের নির্দেশে বন্ধ আছে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: