বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

ঢাকায় আসতে বন্যা আশংকা আবহাওয়া অফিসের!

দেশের বেশ কিছু জেলা বন্যার বানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সেইসঙ্গে গবাদি পশুসহ অন্যান্য পশু-প্রাণীও নানা দুর্ভোগে পড়েছে। তবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা জেলার আশপাশের নিম্নাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বাড়তে থাকায় এমনটা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বুধবার বলা হয়েছে, গঙ্গা ও বহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর সম্মিলিত প্রভাবে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে ঢাকার নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, আগামী ১৯ ও ২০ জুলাই থেকে ভরা বর্ষায় শ্রাবণ মাসের শুরুতে মৌসুমি বায়ু বেশ সক্রিয় হবে। এর ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টানা ৫ দিন বাড়তে পারে গঙ্গার পানি। সেইসঙ্গে বহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেতে পারে। আর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে গঙ্গা ও বহ্মপুত্র নদের সম্মিলিত প্রভাবে পদ্মা নদীর পানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে পারে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর প্রভাবে দেশের মধ্যাঞ্চল তথা ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। আবার নতুন করে কোনো কোনো স্থানে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে ঢাকা জেলার আশপাশের নিম্নাঞ্চলেও।

সরকারের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে দেশের ১৭টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা প্রাদুর্ভাব। জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ি ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চল।

বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বুধবার জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে বৃহস্পতিবারের (আজ) মধ্যে। তবে বাকি জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির হতে পারে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের বন্যায় ইতোমধ্যে দেশের ১৭ জেলার ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: