রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

পোশাক খাত: লোভনীয় প্রস্তাবই পারে আদেশ ফেরাতে

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে পোশাক খাত (আরএমজি শিল্প) এখন পুরো শীতকালীন বিক্রয়  মৌসুমে অর্ডার হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। 


বসন্তে  বিক্রয়  আদেশ প্রত্যাহারের একমাত্র উপায় হলো ক্রেতাদের আগের তুলনায় আরও লোভনীয় (কম দামের প্রস্তাব) প্রস্তাব দেওয়া। এতে পোশাক খাতটি দ্রুত পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।

শনিবার (১৮ জুলাই) মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মিনিস্টার কাউন্সিলর মোহাম্মদ খলিল ইব্রাহিম। 'কোভিড -১৯ মহামারির  বর্তমান এবং মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে আরএমজি ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জ শীর্ষক ওয়েবিনানের আয়োজন করে মোবাইল অপারেটর রবি।  

মোহাম্মদ খলিল ইব্রাহিম বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সহায়তার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার কোভিড -১৯ কে একটি পেশাগত রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  বিশ্বব্যাপী মহামারির পরিস্থিতিতে, কোভিড -১৯ প্রভাবের কারণে, বিশ্বব্যাপী জিডিপি লোকসান ৩.৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সর্বাধিক জিডিপি লোকসানের ক্ষেত্রগুলোরর মধ্যে পর্যটন অন্যতম যা বাণিজ্য অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে। পর্যটন বাণিজ্যে  মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইন জিডিপির ৪.৫ শতাংশের বেশি লোকসান দেখতে পাচ্ছে। তেমনি বাংলাদেশে আরএমজি শিল্প এখন পুরো শীতকালীন বিক্রয়  মৌসুমে অর্ডার হারানোর শঙ্কায় রয়েছে । বসন্তে বিক্রয় আদেশ প্রত্যাহারের একমাত্র উপায় হ'ল আগের তুলনায় আরও কম দামের প্রস্তাব দেওয়া। এতে বাংলাদেশের পোশাক খাতটি দ্রুত পূর্বাবস্থা ফিরে পাবে বলে জানান তিনি।  

বিএমসিসিআই সভাপতি রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, প্রধান গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলি করোনারভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য তা‍ৎক্ষণিক রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিয়েছে। এটি শ্রমিক কর্মসংস্থান, উপার্জন এবং সামগ্রিক বিষয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। পোশাক রফতানির ওপর বাংলাদেশের অতি  নির্ভরতা তার অ্যাকিলিস হিল হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বৃহত্তর স্কেল অর্ডার বাতিল এবং স্থগিতকরণের ফলে পুরো খাত জুড়ে তারল্য  সংকট দেখা দিচ্ছে যা বিজিএমইএ সভাপতিকে  আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের এবং সরকারের উভয় পক্ষের  সমর্থনের জন্য আবেদন করতে অনেকটা বাধ্য করছে।

বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলেন, আরএমজি শিল্পের এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতির প্রভাব কেবল এই  শিল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং অন্যান্য শিল্প, গ্রাহক ও সেবা খাতে মারাত্মক প্রভাবক হতে পারে। আরএমজি শিল্পের সার্বিক মূল্য সংযোজন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পশ্চাৎ-সংযোগ শিল্পগুলো বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬৩.২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছেI এছাড়া আরএমজি শিল্পটি অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্র যেমন ব্যাংকিং, বীমা, রিয়েল অ্যাস্টেট, প্যাকেজিং, হোটেল, ভোগ্য পণ্য, ইউটিলিটি পরিষেবা ও এমন  প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। আরএমজি শিল্পে ক্রমবর্ধমান সংকটটি পুরো অর্থনীতির ওপর একাধিক চেইন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং এই শিল্পকে পুনরুদ্ধার  করা অন্যান্য খাতের পক্ষেও যেথেষ্ট উপকারি হবে।

ওয়েব আলোচনায় বিএমসিসিআই সদস্য, নেতৃস্থানীয় চেম্বারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ব্যাংকার, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।


বাংলাদেশ সময়


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: