রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

৫০০ টাকা দামের কিট কেনা হচ্ছে ২৩শ টাকায়!

সিন্ডিকেট নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনার পরও স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা এখনো তথৈবচ। নতুন করে করোনা পরীক্ষার কিট কেনা হচ্ছে ৪ গুণ বেশি দামে। চীনের সানসিওর বায়োটেক কোম্পানির কিট কেনার ক্ষেত্রে এমন ‘ডাকাতি’র ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই কিটের দাম ৫-৬ ডলার, অর্থাৎ কমবেশি ৫০০ টাকা। অথচ সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের থেকে কিনে নিচ্ছে ২৩শ টাকায়!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫০০ টাকার এই কিট আমদানি করার ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে দাম পড়তে পারে ৬০০ টাকা। অথচ ২৩শ টাকায় কিনে নেওয়ার মাধ্যমে সরকার প্রতি কিটেই গচ্ছা দিচ্ছে ১৮০০ টাকা! ২৩শ টাকা করে এমন ৭ লাখ কিট কিনছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। তাতে সরকারের লোকসানের পরিমান চোখ কপালে তোলার মতো। পুরো বিষয়টাকে ‘ডাকাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ)।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল বলেন, অন্যান্য দেশের কিটের চেয়ে চীনের কিট এমনিতেই অনেক সস্তা। যেখানে জার্মানির সবচেয়ে হাই কোয়ালিটির কিট পাওয়া যায় ১৬০০ টাকায়, সেখানে চীনের কিট কীভাবে ২৩শ টাকা হয়? এটা স্রেফ ডাকাতি। সিএমএসডি কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলরাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কিট কিনতে হলে সরকারের ক্রয় নীতিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী কিনতে হবে, এর বাইরে অন্য কোনো সুযোগ নেই। নীতিমালায় বলা আছে, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য যাছাই করে তবেই কেনাকাটা করতে হবে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কিট কেনার বিষয়টি খতিযে দেখা হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: