শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

করোনাঃ গার্মেন্টস শ্রমিকদের হয় না?

বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস নিয়ে দেশ যখন মহামারীর ক্লান্তিলগ্নে আছে ঠিক তখন গার্মেন্টস শিল্প বিকেএমইএ এবং বিজিএমইএ এবং কলকারখানা অধিদপ্তর মালিক কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দিয়েছে শ্রমিকদের জীবন

নিজের জীবন বিপন্ন হয়ে গেলেও শ্রমিকরা গার্মেন্টসে আসতে বাধ্য হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে বর্তমান সময়ে লক্ষ করা গেছে ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে অসংখ্য শ্রমিক কেউ পায় হেটে কেউবা সাধারন যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এর অর্থ আমরা ভুলে গিয়েছি মানবতা চরম শিখরে উঠে গেছি আমরা যেখানে এক বিন্দু পরিমান মানবতা নেই সেখানে হয়তোবা আমরা পরিচিত হয়েছি।

  আমরা যে মৃত্যুর জন্য ভয় পাচ্ছি সেজন্য আমরা কি করলাম সেটা কখনোই ভেবে দেখিনি বর্তমান সময়ে সেরকমই একটা সময় পার করতেছি। আমি যখন আমার নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবতেছি আমি আমার নিজেকে আমার ঘরে এনে রাখতেছি কিন্তু আমি ভাবতেছি না যে বিভিন্ন জেলা থেকে দূর দূর থেকে যে সমস্ত শ্রমিক ভাই ও বোনেরা তাদের পেটের টানে চাকরির চাহিদার কারণে পায়ে হেঁটে বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে কষ্ট করে তাদের চাকরির স্থানে এসে পৌঁছেছেন।

  তাদের কথা ভুলে গেছি আমরা তারাও একটি মানুষ আমিও যেরকম মানুষ তারাও ঠিক তেমনি মানুষ তাদের সাথে এই বৈষম্য আমরা যেভাবে করতেছি তাতে মনে হচ্ছে কেয়ামতের মাঠে আমরা হাজির হয়ে গেছি যেখানে শুধুমাত্র সকলেই ইয়ানাফছি ইয়ানাফছি বলে চিৎকার চেঁচামেচি করবে আসলে কি তাই? এ পৃথিবীতে যদি আমরা এতোটুকু মায়া-মমতা ছেড়ে দিই যদি নিজেকে নিয়েই ভাবি অন্য কাউকে নিয়ে ভাববার সময় না থাকে তাহলে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমি যদি মারা যাই আমাকে যদি জানাযা বা আমাকে যদি দাফন করার মতো কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে আমি কেনইবা মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছি না।

 বর্তমান সময়ে গার্মেন্টশিল্প একটি বাংলাদেশের বড় সম্পদ সেই সম্পত্তি যদি করোনাভাইরাস আক্রমণ করার কারণে নষ্ট হয়ে যায় বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী? আমাদের আকুল আকুতি মিনতি গার্মেন্ট শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাপক চেষ্টা করতেছেন যারা তাদের প্রতি যে, গার্মেন্টস কে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যান্য সকল মানুষকে যেভাবে সেভে পাঠানো হচ্ছে সেভ করা হচ্ছে ঠিক তেমনি গার্মেন্টশিল্পের মানুষদেরকেও একইভাবে ও বাসায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য যদি সরকারকে অনেক পরিমাণ সাহায্য সহযোগিতা করতে প্রয়োজন হয় সেটিও করতে হবে নচেৎ এই গার্মেন্ট শিল্পকে কোন অবস্থাতেই টিকিয়ে রাখা সম্ভব না তা নির্দ্বিধায় বলা য়ায়।

 যদি গার্মেন্টস আবার অনবরত চলতে থাকে সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা কর্মীরা একে অপরের সাথে মিশবে এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরিমান বাড়বে। অতএব আমরা অনুরোধ করছি যে, এখনো সুযোগ ও সময় আছে এই দেশের গার্মেন্ট শিল্পকে রক্ষা করার জন্য সরকারকে, বিজিএমইএকে এবং কলকারখানা অধিদপ্তর কে এগিয়ে আসতে হবে না হয় বাংলাদেশে একটি কঠিন মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করবে। অতএব ভেবে দেখব আমরা ভেবে দেখবেন আপনারা করণীয় কি বর্জননীয় কি?

যদি আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলেই গার্মেন্টশিল্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আদায়কারী প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে।
সম্পাদক

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: